January 23, 2025, 7:32 am

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের অভিনন্দন আকাশ চৌধুরী সম্পাদিত ‘বিজয় চিরন্তন’বেরিয়েছে ওসমানী হাসপাতালের নার্স আছমা আলহারামাইন থেকে বহিস্কার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবে ব্যারিষ্টার এম এ সালামের মতবিনিময় সুনামগঞ্জের গামাইরতলা সীমান্তে ভুয়া পুলিশ সহযোগী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাঁচাতে জনগনের কাছে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে হবে: সিলেটে তথ্য সচিব সিলেটের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক শামীম “”বিদায় বেলায় ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা আর ভালোবাসা সিক্ত যিনি সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ ফুললের সুস্থতা কামনায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পুরস্কার পেলেন দক্ষ সংগঠক ও অভিনয়শিল্পী কামাল জৈন্তাপুরে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
# গ্রন্থ আলোচনা #

# গ্রন্থ আলোচনা #

ছয়ফুল আলম পারুল :
গ্রন্থের নামঃদানবীর রাগীব আলী
ও লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রিয় প্রাঙ্গণ।
গ্রন্থের প্রকৃতিঃ প্রবন্ধ গ্রন্থ
গ্রন্থকারঃআবদুল কাদির জীবন
প্রকাশকঃরাগীব রাবেয়া ফাউন্ডেশন, সিলেট।
গ্রন্থস্বত্বঃপ্রকাশক
প্রকাশকালঃজুন ২০২২
প্রচ্ছদঃএম আলী হোসাইন
পরিবেশকঃঅটোগ্রাফ পাবলিকেশন, সিলেট।
মুদ্রণঃরাবেয়া অফসেট প্রিন্টার্স এণ্ড রাহিব কম্পিউটার, সিলেট।
মূল্যঃ২০০/-টাকা
ISBN:978-984-34-8132-0
সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ৬৪
সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধঃ৬টি, ব্যক্তিত্ব ১টি,সাক্ষাৎকার ১টি।
উৎসর্গঃসুফি দরবেশ হযরত শাহজালাল(রঃ),হযরত শাহপরাণ(রঃ),মরমি কবি হাসন রাজা,বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম,মরমি কবি ফকির লালন শাহ,গীতিকার রাধারমণ দত্ত,বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আব্দুস সামাদ আজাদ ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এ এম মান্নান।
——–শোভন ব্যঞ্জনাময় প্রচ্ছদে মানসম্মত অফসেট কাগজে জেল বাঁধাই জেকেট কাভারে প্রকাশক মানসম্মত একখানা প্রবন্ধ গ্রন্থ পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছেন। গ্রন্থখানা তরুণ লেখক আবদুল কাদির জীবন এর প্রকাশিত ৩য় গ্রন্থ।
নন্দনময়তায় সৌকর্যপ্লাবী আবেগমন্থিত কলমের আচঁড়ে ভালোবাসার দীপালোক উজলা বিভাবর্ষী এই গ্রন্থখানা। দ্রাক্ষাবাগিচার মতো শোভাময়, হিমালয়ের মতো অপরূপ সৌগন্ধ্য এর পরপ্লাবিত লিপিবদ্ধ প্রবন্ধগুলো আলোক বিচ্ছুরিত করতে চাইছে লেলিহান অগ্নিশিখার মতো। উজলা উত্তাপে অনুশীলনে নিবেদিত সৌকর্যে-দীপ্তপ্রভ হয়ে উঠেছে গ্রন্থখানা।
প্রবন্ধ রচনায় একাগ্রনিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়ী শ্রমের ফসল লেখকের এই প্রবন্ধ গ্রন্থখানা।
৯টি অপরিসর অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে গ্রন্থটিকে।অধ্যায়গুলির শিরোনামেই উহা প্রতিয়মান হয়।
দেখা যাক অধ্যায়গুলির বিন্যাসঃ
★”দানবীর ড.রাগীব আলীঃএকটি ইতিহাস, একজন আলোকিত মানুষ”এই প্রবন্ধে জীবন বাদী,সত্যনিষ্ঠ আত্মপ্রত্যয়ী মাববিক চেতনা সমৃদ্ধ স্বদেশের স্বপ্নদৃষ্টা, অসমসাহসী, ব্যাগ্র আকাংখা ইত্যাকার বিবিধ সমনন-সঞ্জাতদৃপ্তি দীপ্তিতে সুরভিত সুনন্দ্য জনাব ড.রাগীব আলীর মানস সমৃদ্ধির পরিসর বিস্তারে তাঁকে উন্নীত করেছে।মানবতাবাদী স্বদেশ চেতনার এক প্রতিকী-বর্ণাঠ্য সুন্দরতার মানসপুত্র ড.রাগীব আলী দানশীলতায় মহিমান্বিত প্রভাময়তায় বিরাজমান।জনমানুষের নৈকট্যের সঞ্জীবনী মহামন্ত্রে তিনি নিবেদিত আবেষ্টনে সম্পৃক্ত করতে চান।এই প্রবন্ধে প্রতিয়মান হয় শুদ্ধাচারী জীবনের বহমানতায় অমৃতধারা সুনিশ্চিত করতে চান। দানবীর এই মহান ব্যক্তির জীবনী প্রবন্ধটি পাঠক নন্দিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
★” বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী এক অসমাপ্ত প্রবাহিত নদী”
এই ক্ষণজন্মা রমনীর জীবন বর্ণনায় লেখক বলেছেন “তিনি ছিলেন একজন দানশীল সমাজসেবিকা,কঠোর পরিশ্রমী, সফল ব্যবসায়ী, তাঁকে বলা হয় বেগম রোকেয়ার উত্তরসুরি।তিনি প্রবাস জীবন ছেড়ে স্বামীর সাথে সমাজ ও মানুষ তথা জনকল্যাণমুলক কাজে নিয়োজিত হন।এই প্রবন্ধে লেখক মাদার তেরেসার সাথে তুলনা করে মনে করেন বেগম রাবেয়া খাতুন জনকল্যাণের জন্যে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্য।
এই মহীয়সী রমনী মানুষকে ভালোবাসতেন ও সহজ সরল জীবন যাপন করতেন,তাঁর মধ্যে কোন হিংসা-বিদ্বেষ ছিল না।
★” লিডিং ইউনিভার্সিটিতে কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা”এই প্রবন্ধে লেখক তাঁর প্রিয় ইউনিভার্সিটির একটি স্মরণিয় দিবসের বর্ণনা করেছেন।দিনটি ছিলো ২০১৮ সালের ৩ মার্চ কবি-সাহিত্যিকদের মিলন মেলার এক বিরল দৃষ্টান্ত সেদিন রাগীনগর কাব্যতীর্থের নগরীতে পরিনত হয়েছিলো। সেই বর্ণিল অনুষ্ঠানে ড.রাগীব আলী পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে বলেছিলেন কবিরা গণমানুষের কল্যাণের জন্যে অশুভের বিরুদ্ধে আন্দলোন-সংগ্রাম করে আসছেন, কবিরা কখনো স্বৈরাচার ও সন্ত্রাসীদের কাছে মাথা নত করেননি, কোন দিন করবেনও না,কবিতা সমাজের জন্যে বাতিঘরের মতো কাজ করে। ড.রাগীব আলী সাহিত্য ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় অতুলনীয় ভূমিকা পালন করছেন। লিডিং ইউনিভার্সিটিতে কবি-সাহিত্যিকেদের মিলনমেলাটি ইতিহাসে অমর থাকবে বল লেখকের বিশ্বাস।
★”লিডিং ইউনিভার্সিটিঃপ্রিয় প্রাঙ্গণ”প্রবন্ধটিতে প্রাবন্ধিক ও ছড়াকার আবদুল কাদির জীবন তাঁর সুনিপুণ লেখার মাধ্যমে নিজস্ব ধ্যান-জ্ঞান,চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।লেখকের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালের বর্ণাট্য আলেখ্য এর অমলিন স্মৃতি অত্যন্ত জীবন্ত প্রভাময় করে তুলেছেন। বিভিন্ন মহাপুরুষের বাণীর উদৃতি দিয়েছেন,লেখক বলেছেন তাঁর স্বপ্ন ও চেষ্টা তাঁকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে, তাঁর স্বপ্নপুরণ হয়েছে তাই তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মনে করেন।লেখক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো, পঠন-পাঠনের মান,বিভিন্ন অনুষদের বর্ণনা, ইউনিভার্সিটির সামাজিক সংগঠনগুলোর নাম ও কর্মপরিধি তাঁর প্রবন্ধে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যনের ফলে সিলেট বিভাগের প্রথম ইংরেজি সাহিত্যের ম্যাগাজিন “দি আর্থ অব অটোগ্রাফ” সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।একপর্যায়ে লেখক একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব রোবায়েত ফেরদৌস এর সফলতার ছয়টি প্রধান শর্তের বিবরণ তুলে ধরেছেন। পরিশেষে লেখক বলেছেন তিনি তাঁর মতো সুন্দর করে সফল জীবন সাজাতে চান, পৃথিবী থেকে সকল কালিমা দূর করতে না পারলেও শান্তিময় পৃথিবী গঠনে চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
★”লিডিং ইউনিভার্সিটি ৩য় সমাবর্তনঃএক ঐতিহাসিক মাইলফলক”এই প্রবন্ধে লেখক বলেছেন সমাবর্তন মানে একসাথে মিলিত হওয়া, এবং ইউনিভার্সিটির এক মহোৎসবের মিলনমেলা যার কারণে আনন্দ -উল্ল্যাস উদযাপন এবং উচ্ছ্বাসের আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
★”ইউনিভার্সিটিতে স্মরণীয় একটি শিক্ষাসফর”এই প্রবন্ধে ৯জানুয়ারী ২০১৯তারিখ অনুষ্ঠিত এক ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাসফরের বর্ণনা করেছেন শ্রেণি শিক্ষক “লিটারেরি ক্রিটিসিজম” বিষয় পাঠদানকালে প্র‍্যাকটিক্যাল হিসেবে ক্লাস পিকনিকের আয়োজন করেন এবং ওয়ার্ডসওয়ার্থের কোটেশন তুলে ধরে পিকনিকের বিস্তারিত বর্ণনা করেন।যথারীতি ভার্সিটির আঙ্গিনা ও আশে-পাশের জনজীবনের স্বরূপ, সৃষ্টিজগতের সূক্ষ্ম জীবনবোধ ও প্রকৃতির নিঃসর্গের উপাদান অবলোকন করে শিক্ষার্থীদের কাছে এই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছিলো।
★”প্রফেসর ড.গাজী আব্দল্লা-হেল মাহমুদ বাকী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার প্রিয় শিক্ষক”এই প্রবন্ধটি পড়ে মনেপড়ে গেল বাল্যকালে প্রাইমারীতে পড়া একটি কবিতার কথাঃ
“আজ হতে চির উন্নত হলো শিক্ষা গুরুর শির
সত্যি তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর ”
‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’কবিতাটিতে শিক্ষক বলেছিলেন, “শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে কোন ছার!”লেখকের এই প্রবন্ধ পঠনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয় অনুপ্রাণিত হবেন বলে আমার বিশ্বাস। লেখক তাঁর প্রবন্ধে তিনজন প্রিয় শিক্ষকের কথা উল্লেখ করেছেন তন্মধ্যে একজন প্রাইমারী শিক্ষকও আছেন।লেখক বলেছেন” শিক্ষক জাতি গড়ার নিপুণ কারিগর”একজন শিক্ষকই কেবল তাঁর ছাত্রদের প্রতিভার ধারাগুলো বুঝতে পারেন এবং সেগুলোর বিকাশ ঘটানোর পথও বাতলে দিতে পারেন। প্রবন্ধের নামকরণে যে শিক্ষকের নাম এসেছে সেই মহান শিক্ষক হলেন লেখকের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক বলেছেন তিনি মনে করেন একজন আদর্শবান শিক্ষকের যত গুন থাকা প্রয়োজন সেসব গুন এই শিক্ষকের মধ্যে বিদ্যমান যার কারণে তিনি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবচেয়ে প্রিয় এবং সেরা এই মহান শিক্ষক।
★”লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.কামরুজ্জামান চৌধুরী মহোদয়ের একান্ত সাক্ষাৎকার”এই সাক্ষাৎকার প্রবন্ধে শিক্ষার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক উদ্ভাসিত হয়েছে। যেমন, গোল স্থিরকরে যদি কেউ কোন কাজকরে সে সফলতা পাবেই।সিলেটের শিক্ষা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় উঠে এসেছে বর্তমানে সিলেটের মানুষের মাঝে আগের সেই পিছিয়ে পড়া মনোভাব আর নেই। লেখক সিলেটের পিছিয়ে পড়া জনগুষ্টির সেখান থেকে উত্তোরণের উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে যদি প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটবাসী প্রবাসে যায় তবে তার আয় রোজগার অনেক বেশি হবে, দক্ষকর্মীর বিদেশে অনেক অভাব রয়েছে তাই দক্ষতা অর্জন করে প্রবাসে গেলে কর্মীর ব্যাক্তিগত লাভ ও দেশের বৈদেশিক রিমিটেন্স বাড়বে।জীবনের স্মরণীয় ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে প্রফেসর একটি লেছনের উদৃতি দিলেন “Which is ” think globally,work locally” এখানে কাজ করে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার সাথে খাপ খাইয়ে চলাটা জরুরী। তিনি এই শিক্ষাটা বিভিন্ন টিচার এবং সুপারভাইজারদের কাছ থেকে পেয়েছেন।পরিশেষে প্রফেসর বলেন, জীবনের পজিটিভ যে দিকগুলো আছে, সেগুলোর মাধ্যমে নিজেকে তৈরী করে সমাজের জন্যে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রবণতা তৈরী করতে হবে।
——–সাধারণভাবে মনে করা হয়ে থাকে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ প্রবলভাবে পাঠক-খরায় আক্রান্ত। পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বইয়ে প্রতি শিক্ষার্থীদের অনীহা বা অনাগ্রহের বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হতে-হতে উদ্বেগ পর্যায়ে। অসত্যনয় যে,আজকের উঠতি তারুণ্য,যুবকদের অতি ব্যাপক বৃহদাংশই সৃজনশীল সাহিত্যের প্রতি দুঃখজনক ভাবে উদাসীন। এ অবস্থা কেবল নবতর প্রজন্মের মধ্যেই সীমিত নয়,অগ্রজ প্রজন্মও এই অভ্যাস এবং অনুশীলন সম্মত সমৃদ্ধিতে অব্যাহত রাখতে পেরেছেন একথা জোর দিয়ে বলা কষ্টসাধ্যই।পাঠক শীর্ণতা এবং মুদ্রিত পুস্তকের প্রতি উপেক্ষা ও একধরনের অপ্রত্যক্ষ নেতিবাচক বৈরাগ্যের আগ্রাসন সর্বব্যাপী। বাংলাদেশ কেবল নয় প্রতিবশি রাষ্ট্র সহ সমগ্র পৃথিবীতেই সৃজনশীল সাহিত্য এবং গ্রন্থাদির পাঠচিত্র কম-বেশি সমরূপ।
—–ছড়াকার,প্রাবন্ধিক ও ইংরেজি ম্যাগাজিন সম্পাদক আবদুল কাদির জীবন এর সুচেতনার আহ্বান সংবলিত সমাজ অধ্যয়ন, মানব মনন অনুসন্ধানী এবং উৎকর্ষ সাধনের ইঙ্গিত বহনকরা, আশাজাগানিয়া এই প্রবন্ধগ্রন্থ খানা। নিছক সাহিত্য রচনার জন্যেই তিনি কলম ধরেননি।একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিমূখ তাঁর কলম যাত্রা।একটি বিশ্লেষণাত্মক ও বার্তাবাহী, শুভকল্যাণকর, মাঙ্গলিকবোধ ও চেতনার স্ফূরণ পরিব্যাপ্তিই তাঁর লেখার অভিষ্ট্য।লেখকের এই প্রবন্ধগ্রন্থে মানবতাবাদী ব্যাক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,শিক্ষাগুরু ও শিক্ষার প্রতি আনুগত্যের ব্যত্যয় ঘটেনি।সমাজ ও পরিবারে শিক্ষার প্রতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, নিশ্চিত ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি শুভচেতনা উন্মেষের মধ্য দিয়ে লেখক সত্যান্বেষীর শুদ্ধতায় সুমননের নির্যাস তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন।আমার মতে সুপ্রকাশের ঋদ্ধিময়তায় একটি শোভন সুন্দর এই প্রবন্ধগ্রন্থ খানা।উহা শোভন সৃজনের এক অপরূপ উদ্ভাস।তিন ফর্মার এই প্রবন্ধগ্রন্থ খানার মূল্য ২০০/-টাকা যথাযথ।
আমি গ্রন্থখানার বহুল প্রচার ও পাঠক প্রিয়তা কামনা করি।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com